ঢাকার স্পোর্টস ক্লাবগুলো থেকে খেলাধুলা বিদায় নিয়ে নিষিদ্ধ ব্যবসা কবে থেকে চালু হলো তা নিয়ে নানা ধরণের মত পাওয়া যায়। এক সময় ঢাকায় ফুটবল লিগের দাপুটে দল ছিলো ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। পরে স্বাধীনতার পর আবাহনী-মোহামেডান, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, ফকিরাপুল ইয়াংমেন্স, এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের মতো দলগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বলছে অবহেলা বা অযত্নের দায়ে নয় বরং ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির হাত ছেড়ে অন্ধকার জগতের সারথি হতেই ধীরে ধীরে ক্লাবগুলো চলে এসেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে। বিত্তশালি আর অভিজাত সমাজের বাসিন্দাদের আড্ডাখানার ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষের চোখে যে সমিহ অর্জন করে নেয়া হয়েছে তার অন্তরালে গড়ে তোলা হয়েছে জুয়া, ক্যাসিনোর ব্যবসা আর নিষিদ্ধ মাদক সিন্ডিকেটের অন্ধকার সাম্রাজ্য।
এসব ক্লাবে দীর্ঘকাল ধরেই জুয়ার চর্চা ছিলো, কিন্তু অনুমোদনহীন ক্যাসিনো কিভাবে হলো তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়না তেমন একটা। এমনকি যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তৈরি হয়েছিলো মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র সেই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজই হয়ে দাঁড়িয়েছে জুয়ার আয়োজন করা।
তবে ক্লাবগুলোর সাথে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে জানা গেছে আবাহনী মোহামেডানসহ অন্য প্রায় সব ক্লাবেই জুয়ার প্রচলন ছিলো আশির দশক থেকেই এবং সেটি করা হতো মূলত ক্লাবের ব্যয় নির্বাহের জন্য।
ঢাকায় অন্তত ৬০ টি ক্যাসিনো গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে। যেসব ক্লাবের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনোর অভিযোগ উঠছে তারা প্রায় সবাই একসময় ক্রীড়াঙ্গনে প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো।ফুটবলের পাশাপাশি অনেকগুলো দলেরই ক্রিকেট ও হকি দলও ছিলো যেখানে বিশ্বের নামী দামী অনেক খেলোয়াড়ও খেলে গেছেন। ফুটবলের সেই জৌলুস এখন আর নেই, এমনকি ক্রিকেট ভালো করলেও এসব দলগুলোর অনেকগুলোই আর তাতে নেই। নেই তারা হকিতেও। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে দেখা গেছে স্পোর্টস বাদ দিয়ে ক্লাবগুলো মজে আছে জুয়ার এমন আয়োজনে যার আধুনিক নাম ক্যাসিনো।
ক্লাবগুলোর নিয়ন্ত্রণের ভূমিকাতেও আর খেলোয়াড় কিংবা সংগঠকরা নেই, আছেন সরকারদলীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আসছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল থেকেই।
ক্রীড়া থেকে জুয়া হয়ে ক্যাসিনো এ যেন ক্লাবের রংবদল। রং বেরংয়ের ক্যাসিনোতে চলে নগদ টাকার মেলা। নগরীতে ক্যাসিনোর ধারণা কলাবাগান থেকে শুরু হলেও এর নির্ভরযোগ্য আরেকটি জায়গা হয়ে দাড়ায় তেজগাঁওয়ের ফুওয়াং ক্লাব।
মূলত তাইওয়ানিজদের একটি দল ২০০০ সালের দিকে এখানে পানশালা-কাম-রেস্তোঁরা চালু করে। পরে তাদের বিদায়ের পর বাংলাদেশী একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার হাত ধরে চালু হয় ক্যাসিনো।
এরমধ্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মতিঝিলের ক্লাবগুলোর নিয়ন্ত্রণ যায় যুবলীগের কয়েকজন নেতার হাতে। তারাই মূলত ক্লাবগুলো থেকে খেলাধুলাকে গুরুত্বহীন করে দিয়ে সামনে নিয়ে আসেন ক্যাসিনোকে।
এসব ক্যাসিনো হুট করে হয়নি এটি সত্যি এবং হয়তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও তথ্য ছিলো। সে কারণেই এবারে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে।
ক্লাবগুলোর প্রায় সবগুলোতেই চেয়ারম্যান হিসেবে সামনে রাখে স্থানীয় সংসদ সদস্য বা বড় কোনো রাজনৈতিক নেতাকে। কিন্তু এসব নেতারা সেসব ক্লাবে যাওয়ারও সুযোগ পাননা তেমন একটা। তারা ক্লাবগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মূলত ক্যাসিনো গড়ে তুললেও ক্লাব কর্মকর্তারা রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই এসব নিয়ে মুখ খুলতে পারেননি এতদিন।
কিন্তু সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বলছে অবহেলা বা অযত্নের দায়ে নয় বরং ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির হাত ছেড়ে অন্ধকার জগতের সারথি হতেই ধীরে ধীরে ক্লাবগুলো চলে এসেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে। বিত্তশালি আর অভিজাত সমাজের বাসিন্দাদের আড্ডাখানার ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষের চোখে যে সমিহ অর্জন করে নেয়া হয়েছে তার অন্তরালে গড়ে তোলা হয়েছে জুয়া, ক্যাসিনোর ব্যবসা আর নিষিদ্ধ মাদক সিন্ডিকেটের অন্ধকার সাম্রাজ্য।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যৌথ অভিযানে দেখা গেছে স্পোর্টস বাদ দিয়ে ক্লাবগুলো মজে আছে জুয়ার এমন আয়োজনে যার আধুনিক নাম ‘ক্যাসিনো’। ক্লাবগুলোর নিয়ন্ত্রণের ভূমিকাতেও আর খেলোয়াড় কিংবা সংগঠকরা নেই, আছেন সরকারদলীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল থেকেই।
ক্যাসিনোগুলোর ধরন দেখেই বোঝা যায় সব স্তরের প্রভাবশালীরাই এসব ক্যাসিনো গড়ে তুলেছেন। তবে শুধু এই হানা দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না। খুঁজে বের করোতে হবে কারা এসব ক্যাসিনোর যন্ত্রপাতি আনার অনুমতি দিয়েছে, কারা বছরের পর বছর জেনেশুনেও এসব চলতে দিয়েছে। সুবিধা নিয়েছে নিয়মিত। সবাই মিলেই এসব তৈরি করেছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে তাদের সবার বিরুদ্ধেই। কারণ এটা কোনও একজনের কাজ নয়। একটা বিশাল সিন্ডিকেট এর পেছনে আছে, যার মূল খুঁজে বের করোতে হবে।
মাদারচদ উলটা পাল্টা কথা কস,তর হাড্ডি গুলা খুইলা কুত্তা রে খাওয়ামু
বাইকে কইরা পেট্রোল বোম মারে,ছিন্তাই করে,তাই যুক্তি গত ভাবে এ এই আইন করা তুই তো অই সব এ support তাই আইন রে আজব কইতাসস,খাঙ্কির পলা,তর সব আমি জানি,জানে মাইরা ফালামু কুত্তার বাচ্চা।
ছবিতে যেমন আসে না তেম্নে তরেও ঘারামু।খাঙ্কির পোলা তুই দেশে আয়।
জিয়া যেমনে মরসে তুই কি তেমনে মরতে চাস ? না চাইলে চুপ থাক।
চুপ কর দালালের বাচ্চা দালাল । খাকি মাগির পোলা ভস্কাইয়া দিমু একদম।
রাজাকারের আবার কিসের স্বাধীনতা আর তুই আরেক রাজাকার। তোর কপালেও খারাবী আসে।
আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে এসব আজেবাজে লেখালিখি বন্ধ কর।না হলে খুব খারাপ হবে।
আজাইরা লেখালিখি বাদ দে । দেশ যেমনে চলতেসে ঠিক তেম্নেই চলবো কারো বাপেরও ক্ষমতা বদলানোর।
তোঁর কি?তর এত জ্বলে ক্যান?বিএনপি এর দালাল, খানকির পোলা দেশে আয়,গায়েব কইরা দিমু
তোর দুই পা দুই দিকে টানা দিয়া এরপর লাঠি ভরমু চোত্মারানির পোলা।
বিরোধী মত বলতে কিছুই নেই থাকবেও না। এভাবেই আগাবে দেশ।তর কোন সমস্যা ?