Md Enamul Hoque's Thoughts
  • প্রথম পাতা
  • রাজনৈতিক ভাবনা
  • সামাজিক ভাবনা
  • সমসাময়িক
  • অন্যান্য
  • আমার সম্পর্কে
No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • রাজনৈতিক ভাবনা
  • সামাজিক ভাবনা
  • সমসাময়িক
  • অন্যান্য
  • আমার সম্পর্কে
No Result
View All Result
Md Enamul Hoque's Thoughts
No Result
View All Result
Home রাজনৈতিক ভাবনা

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যু এবং একটি রাজনৈতিক যুগের অবসান

এমডি এনামুল হক by এমডি এনামুল হক
July 15, 2019
in রাজনৈতিক ভাবনা, সমসাময়িক
0
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যু এবং একটি রাজনৈতিক যুগের অবসান
63
SHARES
49.2k
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ  ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন। গত বছরের ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে। 

জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে এবং দুর্নীতির দায়ে জেল খেটেও জেনারেল এরশাদ প্রায় তিন দশক ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতা এবং ভোটের রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি, উভয়েই নানা সময় তাকে নিয়ে টানাটানি করেছে। নানান আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্কের মধ্যেও তিনি টিকে ছিলেন রাজনীতিতে। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে সেই অধ্যায়ের অবসান ঘটল।

তার জন্ম ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তিনি রংপুর জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। এরশাদ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান, এককালীন প্রধান সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। 

জেনারেল এরশাদ সামরিক বাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ষাটের দশকে। মেজর থেকে পদোন্নতি পেয়ে এক সময় স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালেই প্রতিষ্ঠা করেন রাজনৈতিক দল। 

রাজনৈতিক ক্রান্তিকালের সুযোগ নিয়ে নিজেই সামরিক শাসন জারি করেছিলেন। স্বৈরপন্থায় ক্ষমতায় এসে স্বৈরশাসক বনে যান এরশাদ।  ভালবাসার বন্ধুরা তাকে পল্লীবন্ধু জানে। আবার কারও কাছে স্বৈরাচার। এ দুটি পরিচয়ের বাইরেও এরশাদের বহুমুখী পরিচয় মিলেছে। 
দীর্ঘ নয় বছরের শাসনামলে এরশাদের উল্লেখযোগ্য ভাল উদ্যোগের একটি হলো তিনি দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 

ভোটের রাজনীতিতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে ছিলেন জেনারেল এরশাদ এবং তার দল জাতীয় পার্টি। তার নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকেই অংশ নিয়েছিল।

এর পর ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনেও – জেনারেল এরশাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও – জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের সাথে থাকতে হয়েছিল। সর্বশেষ একাদশ সংসদেও আওয়ামী লীগের সাথে থেকে জাতীয় পার্টি ২২টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসে।

জেনারেল এরশাদ ১৯৯৮ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটে যোগ দিয়েও অল্প কিছুকাল পরেই আবার বেরিয়ে এসেছিলেন।

ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে সরে দাড়ান জেনারেল এরশাদ।দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’, বিএনপি ‘গণতন্ত্র দিবস’ এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে। কোন কোন রাজনৈতিক দল দিনটিকে ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবেও পালন করে থাকে।

ওই সময় আন্দোলনকারী দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তিন মাস মেয়াদের একটি অন্তরবর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি।

এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তারা পায় ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। আসন পায় ১৪০টি। বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পায় ৩০ দশমিক ১ শতাংশ ভোট, ৮৮টি আসন। গণআন্দোলনের মুখে পতনের পরও এরশাদের গঠিত জাতীয় পার্টি চতুর্থ রাজনৈতিক দল হিসেবে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পায়, আসন পায় ৩৫টি।

১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও তিনি পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ছয় বছর অবরুদ্ধ থাকার পর ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান। 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে তিনদিনের শোক ঘোষণা করে তার দল। নানা বিতর্কের পর বনানীর সামরিক কবরস্থানেই দাফন করা হয় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মরদেহ। এইচ এম এরশাদ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়। জাতীয় পার্টির ভোটব্যাংক গড়ে উঠেছিল এরশাদকে কেন্দ্র করেই। তার মৃত্যুর পর তার গড়ে তোলা দলে ভাঙনের সুর বেজে ওঠে। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় জাতীয় পার্টি।

Previous Post

২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে

Next Post

স্বৈরাচারী হাসিনাকে নির্মূল করা এখন সময়ের দাবি

Next Post
স্বৈরাচারী হাসিনাকে নির্মূল করা এখন সময়ের দাবি

স্বৈরাচারী হাসিনাকে নির্মূল করা এখন সময়ের দাবি

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বশেষ পোস্টসমূহ

হিরো আলমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কার জন্যে লজ্জাকর?

হিরো আলমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কার জন্যে লজ্জাকর?

February 20, 2023
বিএনপি-র আন্দোলন আওয়ামীলীগের জন্য অন্যতম বৃহত্তম চাপ

বিএনপি-র আন্দোলন আওয়ামীলীগের জন্য অন্যতম বৃহত্তম চাপ

February 12, 2023
ভোট দেওয়ার আগে বিবেচনা করুন গত দশ বছরের ইতিহাস

ভোট দেওয়ার আগে বিবেচনা করুন গত দশ বছরের ইতিহাস

February 1, 2023
দেশে পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে

দেশে পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে

January 15, 2023
আওয়ামী লীগ কি কার্যকরভাবে দেশ পরিচালনা ও নিরাপদ রাখতে সক্ষম?

আওয়ামী লীগ কি কার্যকরভাবে দেশ পরিচালনা ও নিরাপদ রাখতে সক্ষম?

January 7, 2023

আমার সম্পর্কে

Md Enamul Hoque's Thoughts

এমডি এনামুল হক

লেখক, সাধারণ যুগ্ম সম্পাদক, ম্যানচেস্টার বিএনপি

আমি এমডি এনামুল হক। বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, স্বাধীনতার ঘোষক ও বাংলাদেশের একমাত্র সৎ প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত একজন। স্বপন দেখি দেশ নায়েক তারেক রহমানের হাত ধরে নতুন বাংলাদেশ গড়তে।

বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ম্যানচেস্টার শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বাংলাদেশে অবস্থানরত অবস্থায় চট্টগ্রামের শিকলবাহাতে জাতীয়বাদী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলাম ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে। ছাত্র রাজনীতি করি সেই দীর্ঘ সময় থেকেই।

রাজনীতির পাশাপাশি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি করছি। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে আমার চিন্তা-চেতনা ও আদর্শের প্রতিফলন এই ব্লগ। আমরা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম শংকাময় একটি সময় পার করছি। প্রতিদিন নানান ধরনের ঘাতপ্রতিঘাত, বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে লেখালেখি চালিয়ে যাই প্রাণের তাগিদে, আমার দেশের তাগিদে, আমার দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে।

আমার খুব সামান্য চাওয়াঃ আওয়ামী দুঃশাষন, অপঃ রাজনীতি আর শেখ হাসিনার একনায়কোচিত শাষন থেকে মুক্তি মিলবে খুব শীঘ্রই। বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্র থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি উঠে গিয়ে একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হোক এই দেশ। গণতন্ত্র রক্ষায় আমার এই পথচলায় আপনাকে জানাই স্বাগতম। ইনশাল্লাহ, জয় আমাদের হবেই।

আমার লেখা পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং মন্তব্যের মাধ্যমে আপনার মতামতও জানাতে ভুলবেন না।

ধন্যবাদান্তে -
এমডি এনামুল হক
লেখক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ম্যানচেস্টার বিএনপি

আমার খুব সামান্য চাওয়াঃ আওয়ামী দুঃশাষন, অপঃ রাজনীতি আর শেখ হাসিনার একনায়কোচিত শাষন থেকে মুক্তি পাক বাংলাদেশ। এই রাষ্ট্র থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি উঠে গিয়ে একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হোক। গণতন্ত্র রক্ষায় আমার এই পথচলায় আপনাকে জানাই স্বাগতম। ইনশাল্লাহ, জয় আমাদের হবেই।

এই ব্লগে প্রকাশিত সকল লেখা লেখকের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে এই ব্লগে প্রকাশিত কোন লেখার আংশিক কিংবা পূর্নাঙ্গ অংশ প্রকাশ/মুদ্রণ প্রচলিত কপিরাইট আইন অনুযায়ী একটি দণ্ডনীয় অপরাধ।

কপিরাইট © ২০২০ - এমডি এনামুল হক কর্তৃক সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত।

No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • রাজনৈতিক ভাবনা
  • সামাজিক ভাবনা
  • সমসাময়িক
  • অন্যান্য
  • আমার সম্পর্কে

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.